সুনামগঞ্জে আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছে লাখো কৃষক : নেই সরকারী উদ্যোগ !
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ৮:২৬ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের আকাশে মেঘ দেখলেই সব কিছু ফেলে দলে দলে হাওর থেকে বাড়ি ফিরে আসছেন কৃষকগন কাল বৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতের । বিশেষ করে বজ্রপাত এখন লাখ লাখ কৃষকের কাছে আতঙ্কের নামে পরিনত হয়েছে। যার জন্য উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছে লাখ লাখ কৃষক।
এদিকে চৈত্র মাস শেষ হবার পথে অনেক হাওরে ধান কাটার কাজ চলে। চলে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজও। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষককে কাটাতে হয় খোলা প্রান্তরে। তাই বজ্রপাত আতঙ্কে অসহায় হয়ে পড়ছেন হাওরের কৃষকরা।
কৃষকগন জানান, সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার মানুষ গত ৭-৮বছর পূর্বে বজ্রপাতে এত আক্রান্ত হত না। কিন্তু গত ৩বছরে চলতি বছরের ৯এপ্রিল পর্যন্ত ৫০জন বজ্রপাতে হাওরে হতাহতের ঘটনায় সবচেয়ে বজ্রপাত আক্রান্ত জেলা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা। ফলে বজ্রপাত আতঙ্কে হাওরে আকাশে মেঘ দেখলেই যেতে চান না কৃষক আর কৃষক পরিবারের সদস্যরাও প্রিয়জন হারানোর ভয়ে হাওরে যেতে বাঁধা দিচ্ছে না।
লক্ষাধিক তালবীজ রোপন করা হয়। তবে এই উদ্যোগে সুফল পায়নি হাওরবাসী। বেশিরভাগ তালবীজ থেকেই চারা গজায়নি। এবারও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তালের চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাল গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আবহাওয়া অফিসের হিসেবমতে দেশের সবচয়ে বজ্রপাত প্রবণ এলাকা সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে,বজ্রপাতে সুনামগঞ্জে ২০১৬সালে মারা যান ১৮জন, ২০১৭সালে ৮জন আর ২০১৮সালে ২০জন। ২০১৯সালের ৯এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত ৪জন বজ্রপাতে মারা গেছে। এদিকে,বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাওর এলাকায় গত দুই বছর
সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক বলেন,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় ২০১৮সালে তালবীজ বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে তালবীজ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে আর কোনো তদারকি করা হয় নি। বীজ বিতরণ করলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকার কারনে সেটা মনিটরিং করতে পারছি না। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে বীজগুলো রোপন করা হয়েছে কি না সেটা জানি না। এছাড়া বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে কৃষকের হাতে বীজ পৌঁছাতে অনেক বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটা অনেক দীর্ঘমেয়াদিও।