যে কারণে জিন্দাবাজারে দোকান ও গাড়ি ভাংচুর…
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে শুক্রবার রাত ৯টায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর হয়। কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে কৌতুহল।
পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর জেলরোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল আই রাসেল গ্রুপের নেতাকর্মী ও একই সংগঠনের কাশ্মীর গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে প্রথমে জেল রোড এলাকায় হামলা চালায় কাশ্মীর গ্রুপের কর্মীরা। এরপর ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিন্দাবাজারের মেসার্স তারু মিয়া স্টোরে হামলা চালায় তারা। এ সময় ক্যাশ লুটপাট ছাড়া ও বিভিন্ন জিনিষপত্র তছনছ করে হামলাকারীরা। দোকানটির স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন-সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও তার পরিবার। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন-কামরুল আই রাসেল গ্রুপের কর্মী আসগর ও লিটন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আই রাসেল এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জেলরোড এলাকায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে দুজন কর্মী আহত হন।
কতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিয়া জানান, পিযুষের অনুসারীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আফতাবের অনুসারীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা জিন্দাবাজারে একটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গাড়ির মালিক কিংবা দোকান মালিক কেউই লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি হয়নি। এরপরও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। রাত ১২ টায় তিনি জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সুত্রঃ সিলেটের সকাল