ইসলামের দৃষ্টিতে যিনা বা ধর্ষণের শাস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ইসলামের দৃষ্টিতে আসলে কারা ব্যভিচারী? ব্যভিচারীর শাস্তিই’বা কি? কিংবা ব্যভিচারীর তওবা কবুল হয় কি? এমন প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরই দায়িত্ব। তাই পাঠকদের আজকে আমরা এসকল প্রশ্নের উত্তর জানাব ইনশাল্লাহ। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক। নিজের স্ত্রী ব্যতীত অন্য মহিলার সঙ্গে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যিনা বলে। আর যারা এমন কাজ করে তাদেরকে ইসলামের পরিভাষায় ব্যভিচারী বলে। এই ক্ষেত্রে শুূধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও যদি তাদের স্বামী ব্যতিত অন্য কোন পুরুষকে সময় দেয়, তাহরে ওই মহিলাকে ইসলামের পরিভাষায় ব্যভিচারীনী বলা হয়।
এছাড়া চোখের যিনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহ্বার যিনা হচ্ছে কামভাবে কথা বলা (বুখারী, ফাতহুল বারী হা/৬২৪৩ , ১১/৩০)। ইসলামী আইন অনুযায়ী অবিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিতের শাস্তি হচ্ছে রজম (কোমর পর্যন্ত পুতে পাথর মেরে হত্যা) (ইবনু মাজাহ হা/২৫৫০ ; ইরওয়া হা/২৩৪১)। উল্লেখ্য, দেশের শাসক বা তার প্রতিনিধিই কেবল এই শাস্তি কার্যকর করতে পারেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়িমাহ , ২২/৩৫)। যিনা-ব্যভিচার কবিরাহ গুনাহ। তওবা ব্যতীত এ গোনাহ মাফ হয় না। ব্যভিচারী ব্যক্তি ঐ গর্হিত কর্ম থেকে ফিরে এসার জন্য অনুতপ্ত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ (তওবা-৮২ ; ফুরকান-৬৮-৭০)।