মো:শামসুল ইসলাম সাদিক:
ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ ঊৎসব করা,মিলাদ অর্থ হচ্ছে জন্মের সময় বা দিন। আর আন নাবিইয়্যু শব্দ দ্বারা রাসুলে পাক (সা:) কে বুঝানো হয়। আভিধানিক অর্থে ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে রাসুলে পাক (সা:) এর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা বা জন্ম দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাকে বুঝায়। আর শরিয়তের পরিভাষায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) বলতে রাসুলে পাক (সা:) এর আগমন দিন বা জন্ম দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, তাঁর শান-মান বর্ণনা করা, সালাত-সালাম পেশ করা, তাঁর পূত-পবিত্র জীবনীসহ সামগ্রীক বিষয়ের আলোচনাকে বুঝায়। মিলাদ শব্দটি আরবি কিন্তু আমাদের দেশে এর প্রচলন ফার্সী ভাষা থেকে হয়েছে। তবে অনেক ঐতিহাসিকগণ মিলাদ অরবি ভাষায় অর্থ তুলে ধরে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করেন। ফার্সী ভাষায় মিলাদ অর্থ ঝামানে তাওলীদ বা জন্মের সময় (ফারহাঈে জবানে ফার্সী )।
মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সূরা আল এমরানের ৮১ও ৮২ নং আয়াতে রাব্বে কারিম সুস্পষ্ট ভাষা বর্ণনা করেন- হে আমার রাসুল (সা:)! আপনে স্মরণ করুন সেই দিনের এ কথা আল্লাহ তায়ালা সমস্ত নবি ও রাসুলগণ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন এ কথার উপর যে, যখন আমি তোমাদের কে কিতাব ও হিকমত দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করবো তারপর তোমাদের কাছে আমার মহান রাসুল যাবেন এবং তোমাদের নবুওয়াত ও কিতাবের সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করবেন, তখন তোমরা অবশ্যই উনার উপর ঈমান আনবে এবং অবশ্যই উনাকে সাহায্য করবে। রাব্বে কারিম বলেন- তোমরা কি এসব কথার উপর অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছো ? তখন তাঁরা সকলেই সমন্বয়ে বলেছিলেন আমরা অঙ্গীকার করছি। রাব্বে কারিম বলনে তাহলে তোমরা পরস্পর সাক্ষী থাকো আর আমিও তোমাদের সাথে মহা সাক্ষী রহিলাম।
অত:পর যে কোন লোক এই অঙ্গীকার থেকে ফিরে যাবে সেই হবে ফাসিক। উল্ল্যেখিত আয়াতুল কারিমাদ্বয় দ্বারা রাসুলে পাক (সা:) এর ব্যাপারে যে গুরুত্ব বহন করে তাহল- রাসুলে পাক (সা:) এর মিলাদ আলোচনা, রাসুলে পাক (সা:) এর শান-মান বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, রাসুলে পাক (সা:) এর আগমনের ভিত্তিতে নবীগণের সত্যতার প্রমাণ, রাসুলে পাক (সা:) কে নি:শর্তভাবে সাহায্য করা, নবীগণের স্বীকৃতি প্রদান, পরস্পরের সাক্ষী হওয়া, আল্লাহ পাক সাক্ষী হওয়া, ওয়াদা খিলাফের পরিণাম।
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা রাসুলে পাক (সা:) এর রিসালাতের ব্যাপারে রাব্বে কারিম উপরোল্লেখিত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। তাওহীদ সম্পর্কে মাত্র একবার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছিল যেখানে কোনো নিদের্শনামূলক অঙ্গীকার ছিলনা এবং স্বাক্ষীও রাখা হয়নি। রাব্বে কারিম বলেছিলেন- আমি কি তোমাদের রব নই ? হযরত আদম (আ:) তখন উত্তরে বলেছিলেন ‘ক্বালু বালা’ অথ্যাৎ তাঁরা সবাই বলল হ্যাঁ।
তাওহীদের ক্ষেত্রে মাত্র একবার অঙ্গীকার নেওয়া আর রিসালাতের ক্ষেত্রে বার বার অঙ্গীকার নেওয়ায় একথা প্রমাণ করে যে, তাওহীদের ব্যাপারে তেমন সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কিন্তু রিসালাতের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা দেখা দিবে। কেউ মানবে আবার কেউ মানবে না। রাসুলে পাক (সা:) তো মানব সুরতে পৃথিবীতে আগমন করবেন ও তাঁর চলাফেরা,উঠা-বসা,খাওয়া-দাওয়া সকল কিছুই মানুষের মতই হবে। তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাত এবং তাঁর বিশেষ মর্যাদা শান-মান এর কথা মানুষ খুবই কম অনুদাবন করতে পারবে।
তাঁর সাথে আমার দেওয়া মর্যাদা না জেনে সাধারণ মানুষের মতো বলবে। উনার মর্যাদা খাটো করার চেষ্টা করবে। সে জন্য রাসুলে পাক (সা:) এর নবুওয়াত ও রিসালাত সম্পর্কে এসকল হুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁর সমর্থন উল্লেখ করে রাব্বে কারিম পৃথিবীর মানুষদের রাসুলে পাক (সা:) এর শান-মান আগমনের গুরুত্ব উপলদ্ধিকরার তাকিদ করেছেন।
পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা:) এর মূল আলোচ্য বিষয়ই উপরোক্ত আয়াতের মাধ্যমে রাব্বে কারিম নিজেই বর্ণনা করে দিয়েছেন। রাব্বে কারিম উনার রুবুবিয়্যাত অস্বীকারকারীদের সম্পর্কে তিনি কোনো মত দেননি। কিন্তু রাসুলে পাক (সা:) এর শান-মান ও রিসালাত অস্বীকারকারীদের ফাসেক তথা কাফের বলেছেন। রাব্বে কারিম অন্যত্রে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেন-হে মানব জাতি ! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান পথপ্রদর্শক স্বরুপ। তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধি সমূহ দূরকারী মহান হেদায়াত ও মুমিনের জন্য মহান রহমত। মূলত মহান রব এই কথা বুঝাতে চাইছেন যে, ওয়ামা আরছালনাকা ইল্লারাহমাতাল্লিল আ’আলামিন অর্থ হে আমার হাবীব ! আমি আপনাকে সমস্ত মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি। এ আয়াতে রাব্বে কারিম রাসুলে পাক (সা:) কে রহমত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর হরমত প্রাপ্তির জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা রাব্বে কারিমের নির্দেশ।
রাব্বে কারিম সূরা ইউনুসের ১৮ নং আয়াতে ইরশাদ করেন- হে আমার প্রিয়ারা হাবীব (সা:) আপনি বলে দিন আমার অনুগ্রহ ও রহমত লাভ করার কারণে তারা যেন ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছুর চেয়ে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করে। অন্যত্রে সূরা ফাতহ এর ৮ ও ৯ নং আয়াতে রাব্বে কারিম ইরশাদ করেন- হে আমার রাসুল (সা:) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে স্বাক্ষী সু-সংবাদদাতা এবং সর্তককারী স্বরুপ পাঠিয়েছি। যেন মহান প্রতিপালকের উপর এবং উনার রাসুল (সা:) এর উপর ঈমান আনে এবং উনার খেদমত করো ও উনার তা’যীম- তাকরীম করো এবং উনার ছানা ছিফত বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা। উক্ত বিষয় সম্পর্কে রাব্বে কারিম বলেন- নিশ্চয় আল্লাহ পাক ও তাঁর ফেরেশতাকুল সকল রাসুলে পাক (সা:) এর প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ তোমরাও রাসুলে পাক (সা:) এর প্রতি সালাত তথা ছানা ছিফত, তাছবীহ- তাহলীল পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ করো প্রেরণ করার মতো। যথাযথ সম্মানের সাথে।
রাব্বে কারিম সূরা আছ ছফের ৬ নং আয়াতে স্পষ্ট ভাষায় ইরশাদ করেন- হে আমার রাসুল (সা:) আপনি স্মরণ করে দেখুন ঐ সময়ের কথা যখন মরিয়ম তন্ময় ঈসা (আ:) বলেছিলেন হে বনী ঈসরাইল আমি তোমাদের কাছে নবী হয়ে প্রেরিত হয়েছি। আমি আমার পূর্ববর্তী তওরাত কিতাবের সত্যতার স্বাক্ষ্য দিচ্ছি এমন এক মহান রাসুলের সু-সংবাদ দিচ্ছি যিনি আমার পরেই আগমণ (ওয়ালাদাত হবে) করবেন এবং তাঁর নাম হবে আহমদ। উল্ল্যেখিত আয়াত দ্বারা মিলাদ তথা রাসুলে পাক (সা:) জন্মের আলোচনা, তাঁর আগমন উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা ছানা ছিফত , তাঁর শান-মান ইত্যাদি আলোচনা করা তাঁর প্রতি সালাতু-সালাম পাঠ করা। আর অবশেষে রহমত বরকত লাভের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সূরা মরিয়মের ১৫ ও ৩৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন- নবী রাসুলগণের আগমন ও বিদায় সম্পর্কে বলা হয়েছে উনার প্রতি সালাতু-সালাম, (রহমত ও বরকত ) যেদিন তিনি আগমন করেন এবং যেদিন তিনি বিদায় নিবেন এবং যে দিন তিনি পনরুত্থিত হবেন। সালাম আমার প্রতি যেদিন আমি আগমন করেছি যেদিন বিদায় নিব ও যেদিন পুনরুত্থিন হবো। উল্ল্যেখিত আয়াতুল ক্বারিমাদ্বয়ে হযরত ইয়াহইয়া (আ:) ও হযরত ঈসা (আ:) এর আগমন , বিদায় ও পুরুত্থান প্রত্যেকটাই সালাম, রহমত ও বরকত সাকিনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যিনি তামাম জাহানের সৃষ্টি কূলের মূল মানবতার মুক্তির দিশারী রাসুলে পাক (সা:) তাঁর আগমন, বিদায় পুনরুত্থান যে, কতটুকু সালাত,সালাম, রহমত, বরকত ও মর্যাদার কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মানবতার মুক্তির দিশারী বিশ্বনবী রাসুলে পাক (সা:) নিজেই নিজের মিলাদ পালনার্থে খুশি প্রকাশ করে বলেন- আমি হলাম হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর দোয়া ও হযরত ঈসা (আ:) এর সু-সংবাদ এবং আমিনা (আ:) এর দেখা সু-স্বপ্ন ও অলৌকিক ঘটনার বাস্তব প্রতিফলন। হযরত আমিনা (আ:) আমার মিলাদ তথা জন্মের সময় দেখেছিলেন যে, একখন্ড নুর জমিনে তাশরিফ নিলেন এবং সে নুর এর আলোর প্রভাবে সাম দেশের দালান কোটাগুলোকে আলোকিত করেছিল যা তিনি সুস্পষ্টভাবে অবোলকন করেছিলেন (মিশকাত ,মুসনাদে আহমদ )। অন্য হাদিসে রাসুলে পাক ( সা:) স্বয়ং তিনি নিজের মিলাদ সম্পর্কে খুশি প্রকাশ করে স্বীয় বংশ মর্যাদা বর্ণনা করে ইরশাদ করেন- মহান রাব্বে কারিম আমাকে তামাম জাহানের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম, মাখলুকাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম, গোত্রে কুরাঈশ খান্দানে এবং কুরাঈশ গোত্রের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাশেমী শাখায় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ঘরে আমাকে প্রেরণ করেছেন (মিশকাত,তিরমিযি )। অন্যত্রে রাসুলে পাক (সা:) এরশাদ করেন- তোমরা সোমবার দিন রোযা রাখ কারণ ঐদিন আমার জন্ম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি রাসুলে (সা:) এর সাথে হযরত আমীর আনছারী (রা:) এর গৃহে উপস্থিত দেখতে পেলেন যে, তিনি রাসুলে পাক (সা:) এর ওয়ালাদাত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তাঁর ছেলে-সন্তান এবং আত্মীয়-স্বজন, জাতি গোষ্ঠী, পাড়া প্রতিবেশিদের কে নিয়ে রাসুলে পাক (সা:) এর বেলাদত শরীফের ঘটনা আলোচনা করছেন, এবং বলছেন এই দিবস এই দিবস তথা এই দিবসে মানবতার মুক্তির দিশারী রাসুলে পাক (সা:) পৃথিবীতে তাশরীফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে। রাসুলে পাক (সা:) এর ওয়ালাদাতের ঘটনাবলী শ্রবণ করে অত্যন্ত খুশি হয়ে বললেন, নিশ্চয় রাব্বে কারিম রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং যে কেউ আপনার মতো এরূপ আমল করবে, সেও আপনার মতো নাযাত লাভ করবে (আততানবীর ফি মাওলিদিল বাশির ওয়ান নাঝির, সুগুলুলহুদা ফি মাওলিদিল মোস্তফা (সা:), হযরত ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহ:),হাক্বীকতে মুহাম্মদী মিলাদে আহমদী )।
সহিহ বোখারী শরীফের দ্বিতীয় খন্ডে ৭৬৪ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, হযরত উরওয়া (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- হযরত সুয়াইবা তিনি ছিলেন আবু লাহাবের বাদি। আবু লাহাব রাসুলে পাক (সা:) এর বিলাদত শরীফ এর খবর তাঁর মাধ্যমে শুনে সে তার বাদি সুয়াইবা কে আজাদ করে দিয়েছিল। অত:পর কিছুদিন পর আবু লাহাব যখন মারা গেল তার ভাই হযরত আব্বাস (রা:) তিনি স্বপ্ন দেখলেন যে, আবু লাহাব সে ভীষণ কষ্টের মধ্যে আছে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে আল্লাহ তায়ালা কিরূপ ব্যবহার করছেন, আবু লাহাব জবাবে বলল, যখন থেকে আপনাদের কাছ থেকে দূরে রয়েছি তখন থেকেই ভীষণ কষ্টে আছি। কিন্তু আমি যে দিন আমার ভাতিজা মুহাম্মদ (সা:) এর বিলাদাতের খবর শুণে খুশি প্রকাশ করে বাদি সুয়াইবাকে দু’আঙ্গুলের ইশারায় আজাদ করার কারণে সে দুই আঙ্গুল হতে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সু-শীতল পানি পান করতে পারছি (উমদাতুল ক্বারী )। ঠিক অনুরূপভাবে ইবনে কাছির (রহ:) এর বিখ্যাত গ্রন্থ বেদায়া নেহায়ায় উক্ত ঘটনা বর্ণিত পাওয়া যায়।
আলোচনার মাধ্যমে প্রতীয় মান যে, আবু লাহাব একজন অমুসলিম কাফির থাকা সত্ত্বে শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সা:) এর আগমনের ফলে খুশি হওয়ার কারণে পরকালে একটু নেয়ামত ভোগ করছে। আমরা মুসলমান রাসুলে পাক (সা:) এর উম্মত দাবী দ্বার এবং ঈমানদার মুসলমান হিসেবে যদি রাসুলে পাক (সা:) এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করি তাহলে কি পরিমাণ নিয়ামত লাভ করব তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আলোচনার পরিশেষে আল- কোরআন ও আল-হাদিসের বর্ণনামতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালন করা যথাযথ মর্যাদা ও খুশি প্রকাশ করা আমাদের সকল মুমিন মুসলমানের অবশ্যই অবশ্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য। যা আমাদের জন্য পরকালে নাযাতের পাওয়ার উছিলা হতে পারে। তাই রাব্বে কারিম রাসুলে পাক (সা:) এর শান-মান, মর্যাদা যথার্থ বুঝার ও আমল করার সকল মুসলমানের প্রতি তাওফিক দান করুন। আমিন