উপজেলা জুড়ে ফের তোলপাড় : ওসমানীনগরে ভবনে অপর্যাপ্ত রড ব্যবহার, ঠিকাদারের দায় স্বীকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০১৭, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের পর এবার তাজপুর ডিগ্রী কলেজের নির্মানাধীন ভবনে অপর্যাপ্ত রড ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রবিবার বিকেলে কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ভবনের বারান্দার রেলিংয়ের লিন্টেল ভেঙ্গে অপর্যাপ্ত রড ব্যবহারের বিষয়টি দেখতে পান। ঠিকাদার নিরেশ দাশ দায় স্বীকার করে তা মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে তাজপুর ডিগ্রী কলেজে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ৪তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজটি করছে মেসার্স নব কিশোর দাশ। আজ রবিবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ইয়াহইয়া চৌধুরী কলেজ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় তলার বারান্দার রেলিংয়ের একটি লিন্টেল ভেঙ্গে দেখতে পান ৮ইঞ্চি দুরত্বে রিং দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১২ থেকে ১৬ ইঞ্চি দুরত্বে তা স্থাপন করা হয়েছে। একই রকম তৃতীয় তলার বারান্দার পিলারে ৪টি রডের পরিবর্তে তিনটি রড ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া দেয়ালে স্থাপিত লিন্টেলে অর্যাপ্ত রড ব্যবহারের বিষয়টি ধরা পড়ে। এসময় উপস্থিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সিলেটের টুলটিকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজের ভুল স্বীকার করে তা সংস্কার করে দিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে এসব কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলে অন্যান্য কাজেও অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে। এজন্য পরবর্তী করণীয় ব্যাপারে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নিরেশ দাশ দায় স্বীকার করে বলেন, সাব ঠিকাদার কাজে কিছু ভুল করেছে। এগুলো ভেঙে আবার সংস্কার করে দেব।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী বলেন, মহিলা কলেজ ভবন নির্মাণে দূর্নীতি হওয়ায় তাজপুর কলেজ ভবনের কাজে আমার সন্দেহ জাগে। সন্দেহজনক ভাবে আমি নিজে লিন্টেল ভেঙ্গে দেখতে পাই কাজে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কলেজ কমিটি অতি শীঘ্রই বৈঠকে বসবে।