নবীগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের খামখেয়ালিপনায় দ্বিগুণ বিলের চাপ : বিপাকে হাজারো গ্রাহক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুলাই ২০১৭, ২:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
নবীগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তাদের মিটারের রিডিং অন্য মাসের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ লেখায় খামখেয়ালিপনার কারণে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার গ্রাহক। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একই ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় তীব্র আন্দোলন ডাক দেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন ক্ষুব্ধ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামে গত ৫ মাসে যেসব পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রত্যেক মাসে ৪০ থেকে ৫০ ইউনিট ক্ষয় এর বিল এসেছে সেই সব গ্রহকদের জুন মাসের বিল গত ৫ মাসের বিলের এর সাথে কোনো মিল নেই। কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান । অর্থাৎ যেসব গ্রহকদের বিগত ৫ মাসে ৫০ থেকে ৭০ ইউনিটের বিল এসেছে সেখানে গত জুন মাসের বিল এর কাগজে দেখা গেছে ২০০ থেকে ২৫০ ইউনিট ক্ষয়ের বিল লিখা আছে। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। এ চিত্র পৌরসভার ২২টি গ্রামসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নেই।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সদরঘাট নতুন বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান, বাড়ি বাড়ি হেটে রিডিং লিখে নেওয়া বিদ্যুৎ কর্মকর্তা সাজ্জাত মিয়া জুলাই মাসে কারো বাড়িতে না গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে বসে অনুমান করে প্রত্যেকটি মিটারের রিডিং লিখে নিয়েছেন, যা নিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা চলেছে। এঘটনার পর সাজ্জাদ মিয়াকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গত শনিবার জুলাই মাসের বিলের কাগজ প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌছেঁ দেন বিদ্যুৎ কর্মচারী। পল্লী বিদ্যুৎ এর বিলের কাগজ হাতে নিয়ে গত কয়েক মাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান দেখে চোখ কপালে উঠে যায় গ্রাহকদের। বিলের কাগজ দিতে আসা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে স্থানীয় লোকজন ঘিরে রাখার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের খামখেয়ালিপনার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক।
পল্লীবিদ্যুতের এমন উদাসীনতার জন্য গ্রহকরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন। যার ফলে পল্লীবিদ্যুত সমিতির প্রতি সাধারন গ্রাহকদের চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।