সৌখিন সিলেটিদের বিনোদনের তীর্থস্থান সুরমা রিভার ক্রুজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুলাই ২০১৭, ১২:০৫ অপরাহ্ণ
শাহরিয়ার রশিদ কয়ছর:
সিলেটের এক ঝাঁক প্রবাসী তরুণের উদ্যোগে সুরমা নদীতে দাঁড় করানো হয় এক ভাসমান রেস্তোরাঁর। বিশ্বের অনেক দেশে নদীর উপর এমন ভাসমান রেস্তোরাঁ আছে তা দেখে সিলেটের প্রবাসীরা এই ব্যতিক্রম ধরনের উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করেন এই রেস্তোরাঁ। ৫কোটি টাকা ব্যয় তিন বছরে নির্মাণ করা হয় রেস্তোরাঁটি।এই টাইটানিক জাহাজ এখন সবার কাছে জনপ্রিয়। সিলেটের পর্যটকরা নয় শুধু, সিলেটের বাহিরের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকরা সিলেটের ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ জালাল(রহ:) মাজার দেখতে এবং ও হযরত শাহ পরান (রহ:) মাজার জিয়ারত করতে আসা পর্যটকেরা রাতের খাবার টা খেয়ে নেন সুরমা রিভার ক্রুজে।
রেস্তোরাঁটিতে রয়েছে একসঙ্গে ২৫০ জন মানুষের বসার হল রুম, কনফারেন্স রুম, ভিআইপি রুম এবং ছয়টি অত্যাধুনিক বাথরুম ও দুটি বেডরুমসহ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ‘রিভার ক্রুজ সিলেট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রেস্টুরেন্টটি চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন সিলেটেরই ৩০ তরুণ উদ্যোক্তা। তারা রেস্টুরেন্টটির নাম দিয়েছেন ‘সুরমা রিভার ক্রুজ’।সুরমা রিভার ক্রুজ সুরমা নদীতে ভাসমান সিলেটের একমাত্র রেস্টুরেন্ট এবং ইভেন্ট ভেন্যু।
বিনোদনের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে সপ্তাহের প্রতিটি দিনই খোলা থাকে ১০০ ফুট লম্বা বিলাসবহুল এই রেস্টুরেন্ট।রাতের সুরমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই রেস্তোরাঁর যুড়ি নেই।তাইতো প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে ভাসমান এই রেস্তোরাঁয়। ৫০ জন ধারণক্ষমতার এক্সক্লুসিভ ডেক, ১২০ জনের রিভার ভিউ ডেক কিংবা ৪০ জনের ভিআইপি ডেক – তিন ধরনের ডেক এ রয়েছে অতিথিদের আনন্দ ভ্রমণের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা।
এয়ার কন্ডিশনড ডেকগুলো নদীপাড় এর সৌন্দর্য অবলোকন, ব্যবসায়িক ইভেন্ট, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আদর্শ স্থান।সুরমা নদীতে প্রতিদিন ১ ঘন্টার দুটো ভ্রমণের আয়োজন করে এই রেস্তোরাঁ। ৬ টা ৩০ মিনিটের প্রথম ট্রিপ। ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় দ্বিতীয় ট্রিপ, আছে রাতের খাবারের সুব্যবস্থা,এসবের বাইরেও দিনের বেলাতে নিজের প্রয়োজনমত প্রোগ্রাম আয়োজন করার রয়েছে বিশেষ সুবিধা।তাইতো সৌখিন সিলেটিদের অন্যতম প্রিয় এক স্থান সুরমা রিভার ক্রুজ।