জুটছে না ত্রাণ : ওসমানীনগরে বন্যার্তদের মানবেতর জীবন, বাড়ছে পানিবাহিত রোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৭, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পানিবন্দী জীবন। সাথে দুর্ভোগ আর মানবেতর যাপন। এ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে ওসমানীনগরের বন্যার্তদের। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অকার্যকর হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কারণে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
বন্যা দুর্গত গ্রামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে দুর্গতদের অভিযোগ। এছাড়া বন্যায় টিউবওয়েলগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় প্লাবিত গ্রামগুলোয় বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। পানি বাহিত রোগ ও ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। অপ্রতুল ত্রাণ বরাদ্দের কারণে শত শত পরিবার দুই দফা বন্যার পানিতে ভাসমান অবস্থায় জীবনযাপন করলেও সরকারি-বেসরকারি কোন সাহায্য জুটছে না।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার ৮ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শত শত ঘরবাড়ির লোকজন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ঘরের আঙ্গিনা এবং রাস্তাঘাটে হাটু থেকে কোমর সমান পানি রয়েছে। ঘরে পানি থাকায় থাকা খাওয়ার কাজ খাটের ওপর সারতে হচ্ছে । অস্থায়ী চুলা তৈরি করে খাটের ওপরই করতে হচ্ছে রান্না-বান্নার কাজ।
এদিকে আজ মঙ্গলবার কুশিয়ারার পানি বেড়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন কুশিয়ারা ডাইক দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। মহাসড়কের সংযোগ বেশ কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে গোয়ালাবাজারের সাথে যোগাযোগের বিকল্প সড়ক বালাগঞ্জ-নসিরপুর সড়কের অধিকাংশ। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কখনো কিছুটা উন্নতি হচ্ছে, আবার কখনো অবনতি হচ্ছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতি ঘুরেফিরে এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’