শাবিতে অনুমোদন ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ১২ জন নিয়োগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০১৭, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
শাবি সংবাদদাতা:
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ১২ জন লোককে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার রোলে (দৈনিক মজুরি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আমিনুল হক ভূইয়া তার মেয়াদের শেষ সময়ে একদিনে বুধবার এ নিয়োগ দেন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ তবে আগামী ২৬ জুলাই।
মেয়াদের শেষ সময়ে এসে গণনিয়োগ দেয়াকে নজিরবিহীন বলেছেন আওয়ামীপন্থী অনেক শিক্ষক, অনেকের দাবি অর্থ নিয়ে দেয়া হয়েছে নিয়োগ। ওই নিয়োগ বাতিলের দাবিও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার মোট ১২ জনকে মাস্টার রোলে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে সাতজন এমএলএসএস, দুইজন ঝাড়ুদার, একজন গার্ড এবং দুইজন মালি রয়েছে। এদের বাংলা বিভাগ, হিসাব শাখা, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগ, আইআইসিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং সৈয়দা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলসহ আরও কয়েকটি বিভাগ ও দফতরে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের কয়েকজন কাজে যোগদানও করেছেন। তবে অনেকের মতে, মোট নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২০ জন।
গত ১৫ মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেখা যায়, দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত কর্মচারী (গ্রেড ১৭-২০) ও আনসার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হবে। কিন্তু উক্ত নিয়োগের কোনো অনুমোদন ছিল না বলে রেজিস্ট্রার দফতর থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব বিভাগ, হল ও দফতরে তাদের কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেসব বিভাগ, হল বা দফতর থেকে লোক নিয়োগের কোনো দাবি সম্বলিত পত্র রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হয়নি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম বলেন, আমরা শুনেছি অর্থের বিনিময় এবং বিভিন্ন ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতার সুপারিশে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু এ নিয়োগ নয়, গত দুই বছরে যতগুলো নিয়োগ দেয়া হয়েছে সবগুলোতেই অর্থের লেনদেনের কথা শোনা গেছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান এ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।
বিষয়টি জানার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়াকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।