বিশ্বনাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ ভঙ্গ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৭, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার দুপুরে ভঙ্গ হলো একটি বাল্য বিয়ে। মেয়েকে বাল্য বিয়ে দিবেন না বলে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়েছেন কনের পিতা।
এদিকে, সম্প্রতি বিশ্বনাথ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলাকে বাল্য বিয়ে ঘোষনার কয়েক মাস পর ঠিক তখনই বাল্য বিয়ের আয়োজন নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে বাল্যবিবাহ ভঙ্গ করতে বাধ্য হন বর-কনের পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের খলকু মিয়ার মেয়ে তাছলিমা বেগম (১৫) সাথে একই ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আমিনুর রহমানের সঙ্গে বুধবার বিয়ে দিন ধার্য করা হয়। বিয়েতে আমন্ত্রন জানানো হয় উভয় পরিবারের কয়েকশত মানুষকে। বুধবার (স্থানীয় পলাউল্লা বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
বিষয়টি বুধবার সকালে জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিয়ে ভঙ্গের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। দুপুরে বর-কনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিউনিটি সেন্টারের সকল আয়োজন বন্ধ করে প্রশাসন।
বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পপি রানী তালুকদার, থানা পুলিশের এসআই নাছির উদ্দিন, অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াহিদ আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ের সেন্টারে গিয়ে হাজির হন। এসময় তারা বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন প্রমান পেয়ে বিয়ে ভঙ্গ করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে বিয়ের সকল আয়োজন ভঙ্গ হয়েছে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বাল্যবিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। বর-কনের পক্ষের লোকজন বাল্যবিবাহ না দেয়ার জন্য অঙ্গিকার নামা করেছেন। উপজেলায় কোনো অবস্থাতে বাল্য বিবাহ হতে দেয়া হবেনা বলে তিনি জানান।