বিশ্বনাথে একজোট হয়ে বাসিয়া নদী দখলে রেখেছেন আ’লীগ ও বিএনপি নেতারা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০১৭, ১১:২২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে অবৈধ দখল টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৮ নেতা কোটি কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ কার্যক্রম ঠেকাতে প্রভাবশালী একটি মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি সবাই এখন একজোট। যে কোনো মূল্যে তারা বাসিয়া নদীর অবৈধ দখল বহাল রাখতে চায়। জেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে দখল ছেড়ে দিতে ১৫ দিনের নোটিশ দেয়ার পরই শুরু হয়েছে এই তৎপরতা।
জেলা প্রশাসনের দেয়া নোটিশ অনুযায়ী দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাবশালী নেতা দলবদলকারী পংকি খানের ভাই ফিরোজ খান, চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারিছ খান, সরকারি দলের এজেন্ট হিসেবে পরিচিত নওশদ খান। যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মকদ্দস আলী, সুমন মিয়া, ময়না মিয়া, শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ফজর আলী, জুনাব আলী, যুবলীগের আমিনুল ইসলাম, সুন্দর আলী, জুয়েল মিয়া, সুনু মিয়া, ফতির আলী। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হাই, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, আরশ আলী রেজা, কচির মিয়া।
দীর্ঘদিন ধরে বাসিয়া নদী ১৮ রাজনৈতিক নেতা গিলে খাচ্ছেন। প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাসিয়া নদী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, ভবন তৈরি করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক হয়েছেন। জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন অনেকেই। নামি দামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এমনকি অনেকেই নদীর চর দখল করে গড়ে তুলেছেন বিশাল অট্টালিকা ও প্রাসাদ।
জেলা প্রশাসন থেকে ১৮৭ জন দখলদারকে চিহ্নিত করে চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১৯ এপ্রিল এই নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। এরপর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে ‘বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের’ আহ্বায়ক ফজল খান যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ দখলদাররা নদী দখল করে দালান, বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় নদীর প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। বেআইনি দালান তৈরি করে আর্থিকভাবে অনেকে লাভবান হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথবাসী এখন সোচ্চার। এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস যুগান্তরকে বলেন, অবৈধ দখলদারদের ১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোন আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর এই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
সুত্র: যুগান্তর