ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রীজের নিচে রমরমা দেহ ব্যবসা : উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সংশয়ে অবিভাবকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০১৭, ২:২৮ অপরাহ্ণ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলাস্থ ব্রীজের নিচে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে সেখানে রমরমা দেহ ব্যবসা করে আসছে একটি অসাধু চক্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদানিং এলাকায় দালালদের আনাগুণা চরম আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দালালদের উদ্যোগে এবং ছত্রছাঁয়ায় এলাকার এবং বাহিরের উঠতি বয়সের যুব সমাজকে যৌন কাজে জড়িয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দালালদের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন চ্যানেল মোতাবেক বিভিন্নভাবে বড় অংকের টাকা চুক্তি করে সুন্দরী রমণীদের এনে দেহ ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করা হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলার বাজার স্ট্যান্ড এর নিকটে ব্রীজের নিচে নবীগঞ্জের এক ব্যক্তি অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে সেখানে সুন্দরি রমণীদের নিয়ে বহুদিন যাবৎ দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে খদ্দেরদের সমাগম। উঠতি বয়সী ছেলে থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী লোকরা প্রতিদিন যাতায়াত করেন ব্রীজের নিচে। ব্রীজের নিকটে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্র থাকা সত্তেও সেখানে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রশাসনকে তুয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এই অপকর্ম। এতে করে উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সংশয়ে আছেন অভিভাবকরা। সন্ধ্যার পরে ব্রীজের নিচে থেকে বেরিয়ে আসা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)এক লোকের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, প্রায় সময়ই তিনি এখানে আসেন,কারন ৩/৪দিন পর পর রমণীদের বদলীয়ে নতুন নতুন রমণী আমদানি করা হয় তাই আসতে হয়। এটা কি ঠিক হচ্ছে ?? জানতে চাইলে তিনি বলেন”হাতের কাছে সহজে পাই তো তাই একটু আনন্দ করতে চলে আসি”না হলে তো আসতাম না”স্থানীয় এক লোকের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এখানে সব সময়ই লোকেরা যাতায়াত করে এবং মধ্যরাতে মাঝে মাঝে গানের আসর ও বসে তার সাথে হয় মদ ও জোয়ার আসর। তিনি বলেন, প্রথমে ভাবছিলাম হয়তো বাড়িঘর ছাড়া কোনো লোক এখানে আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু যে ব্যক্তি এখানে থাকছে তার নিজস্ব বাড়ি নবীগঞ্জ পৌরসভার ভিতরে। এরকম দেহ ব্যবসা চলতে থাকলে উঠতি বয়সি ছেলেরা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। স্থানীয় জনসাধারণ এই দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে ও উঠতি বয়সী স্কুল কলেজে পড়ুয়া যুব সমাজকে সুরক্ষা করার লক্ষ্যে এবং এলাকাকে অসামাজিক কাজ দূর করণে উপজেলা প্রশাসন ভালো উদ্যোগ বলে আশা করেন এলাকাবাসী।