মানববন্ধনের ২ ঘন্টা পর সিলেটের ডিবি পুলিশের খাচাঁয় ৩ ঘাতক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
ছনি চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: বাবাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তদের হামলায় সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র জামিল আহমদের তিন ঘাতককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।মানববন্ধন শেষের প্রায় ২ ঘন্টা পর সিলেট ডিবি পুলিশের একটি দল জামিল হত্যাকারী ঘাতক মংলাপুর গ্রামের মছদ্দর আলীর পুত্র সিপন আহমদ, আব্দুর রুপ এর পুত্র সাহেল আহমদ, আব্দুল জলিলের পুত্র দেলোয়ার হোসেন কে মংলাপুর পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এ হত্যাকান্ডের একমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ঘাতককে গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে পূর্ব ঘোর্ষিত অনুযায়ী মানববন্ধনের আয়োজন করা হয় গতকাল শনিবার সকাল ১০ঘটিকার সময়। নিহত জামিলের বাড়ি মংলাপুর সহ আশপাশ এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেলবাজারে দল বেধেঁ বেধেঁ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন নিহত মেধাবী কলেজ ছাত্র জামিলের ছবি সম্ভলিত লিফলেট, পেষ্টুন ও ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। মডেলবাজার থেকে বিশাল মানবন্ধন নিয়ে সৈয়দপুর বাজার হয়ে আউশকান্দি- হীরাগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিন করে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্ত¡রে এসে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় মডেল বাজার আলহেরা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ সভাপতি হাজী আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মশাহিদ আহমদ এর পরিচালনায় উক্ত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবীগঞ্জ- বাহুবল আসনের মাঠি ও মানুষের নেতা সাবেক এমপি আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া। এতে বক্তব্য রাখেন, আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মহিবুর রহমান হারুন, মৌলভীবাবজার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও নিহত জামিলের মামা নাজমুল হক, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু, বৈঠাখাল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম, নিহত জামিলের পিতা মাওলানা মোস্তফা আহমদ, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য সাহেল আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নিহত জামিলের বোন জামাই শাহ শাহজন মিয়া, যুুক্তরাজ্য ওল্ডহাম শাখা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী সাংস্কৃতি জোটের অন্যতম সদস্য আবৃতিকার মশিউর রহমান, তারেক মনোয়ার, সাইদুর রহমান, নাঈম ইসলাম, সাকির আহমদ, মোস্তফা আহমদ, হোসেল আহমদ, আল আমীন সহ সকল শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১লা এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে একদল অস্ত্রধারী দূর্বৃত্ত মাওলানা মোস্তফা আহমদ এর পাকা দালান বাাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার শয়ন কক্ষে ডুকে এলোপাতারি হামলা করে এ সময় তার স্ত্রী সালেহা আক্তার হাউমাউ করে চিৎকার দিলে পাশের রোমে ঘুমিয়ে থাকা তার পুত্র সিলেট লিডিং ইউনির্ভাসিটির অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র জামিল আহমদ (২৫), সৈয়দপুর মাদ্রাসার আলীমে অধ্যায়নরত মওদুদ আহমদ (২০), আউশকান্দি দি লিটল ফ্লাওয়ার জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মাসুদ আহমদ (১৪) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অস্ত্র দিয়ে বেধরক কুপিয়ে আহত করে তাদের বাবাকে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে অর্ধয্য হয়ে বাবাকে রক্ষা করতে দূর্বৃত্তদের সাথে পাল্টা পাল্টি আক্রমন চলে জামিলের। এতে সংঘবদ্ব অস্ত্রধারীরা ক্ষীপ্ত হয়ে এলোপাতারি ভাবে তাদের কুপাতে তাকে। প্রায় ৩০মিনিট সময় চলে দূর্বৃত্তদের সাতে তাদের তিন ভাইয়ের পাল্টা পাল্টি হামলা। এক পর্যায়ে জামিল মুখোশপড়া দূর্বৃত্তদের মূখোশ টান মেরে খুলে ফেলায় জামিলকে তাদের বাড়ির উটানে নিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে তারা ৩ সহোদর গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটি পড়ে। এর পর জামিলকে মৃত ভেবে দূর্বৃত্তরা চলে যায়। তার মা ও বোনের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিল আহমদকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত ২ সহোদর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। এর পর ঘাতকদের গ্রেফতারের জন্য নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।