কাল সুনামগঞ্জ আসছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বাগত জানাতে লাখো মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ৬:০৬ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
আগামীকাল রোববার (৩০ এপ্রিল) সুনামগঞ্জে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অকাল বন্যায় প্লাবিত হাওর এলাকা পরিদর্শনে আসছেন। সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন এবং জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার শাল্লায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কলেজ রোডস্থ কমিউনিটি সেন্টারে এক প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। আনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে হাওরের বিপন্ন লাখো মানুষ মিলিত হবে শাল্লায়। হাওরবাসির দুর্যোগ দেখতে শাল্লাকেই বেছে নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা একটি মানবিক প্রোগ্রাম। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতেই তিনি শাল্লায় আসছেন রোববার। এই দুর্যোগ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর সফর হাওরবাসির মনে প্রত্যাশার আনন্দের জোয়ার বইছে। সভায় বক্তব্যকালে মুহিবুর রহমান মানিক বলেন- প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রীর শেখ হাসিনার সফর হাওরবাসির হতাশায় প্রত্যাশা জাগবে, অঞ্চলের অর্থনৈতিক দুরবস্থা থাকবে না। হাওরবাসীকে তিনি বঞ্চিত করবেন না। তিনি গোপালগঞ্জ আর সুনামগঞ্জকে একইভাবে দেখেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বরকতউল্লা খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সুনামগঞ্জের শাল্লাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য শালায় পৌঁছেছেন। এ ছাড়া এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষকদের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জের ১৪২টি হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার প্রায় তিন লাখ কৃষক পরিবার।
জেলায় এবার দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল, যার ৯৫ শতাংশ বন্যায় তলিয়ে গেছে। ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন হাওর ও নদীতে প্রায় পাঁচ মেট্রিক টন মাছ মারা গেছে। মারা গেছে অনেক হাঁসও।