“টক অব দ্য ওসমানীনগর”
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ওসমানীনগরে ৪প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট শূন্য। বিষয়টি এখন টক অব দ্য ওসমানীনগর। জেলা পরিষদ নির্বাচনের ওসমানীনগর (৮নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৪জন প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। অর্থাৎ তাদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা শূন্য। এতে প্রমাণিত হয় তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীরাও ভোট দেননি।
ভোট শূন্য প্রার্থীরা হলেন- আবু আহমদ এমদাদ (ঘুড়ি), খায়রুল আলম (হাতি), শিব্বির আহমদ শিকদার (বক), নজরুল ইসলাম (তালা)।
একটি ভোটও না পাওয়ায় হাঁকডাক দেয়া এসব প্রার্থী নিয়ে এলাকাজুড়ে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। ফল প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে হাট বাজারে চলছে বিভিন্ন মন্তব্য। তাছাড়া এ সদস্য পদের নির্বাচনে দুই প্রার্থী ৩টি করে ভোট পেয়েছেন। তারা হলেন, সৈয়দ আহমদ বহলুর (বৈদ্যুতিক পাখা) ও নুরউদ্দিন আহমদ নুনু (ক্রিকেট ব্যাট)।
এদিকে নির্বাচনে ওসমানীনগর (৮নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা যুবসংহতির সভাপতি মো. আশিক মিয়া। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পংকজ পূরকায়স্থ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ ভোট। নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া সদস্য প্রার্থী সৈয়দ এনামুল হক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (নং ১৫৮১০/২০১৬) দায়ের করে রুল এবং অন্তবর্তীকালীন আদেশ লাভ করলে নির্বাচন কমিশন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ জারি করে। শেষ পর্যন্ত এই প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেলেও নির্বাচনে মাত্র ১৫ ভোট পেয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার তাজপুর মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ১০৪ ভোটারের মধ্যে ১০২জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আশিক মিয়া ৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।