গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ করতে হবে : খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচীব ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ বলেন, আমরা স্থাপত্যকলা ও শিল্পকলার বিরুদ্ধে কথা বলছি না, কিন্তু গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনপূর্বক আমাদের জাতীয় মন ও মানসে বিজাতীয় কৃষ্টির অনুপ্রবেশ আমাদের ঈমান আকিদা বিশ্বাস বিরোধী।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ করার দাবিতে গতকাল শুক্রবার ইস্ট লন্ডনস্থ আলহুদা, মজলিস অফিসে শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মিজানুল হকের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আর বলেন, গ্রিকপুরাণের কল্পিত দেবী থেমিস রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতীক হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম স্বাধীন বাংলাদেশ নাগরিক হিসেবে আমরা তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে ধার করে হীনঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা লালন করবো কেন?
দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনার পরিপন্থি গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কথিত ন্যায়ের প্রতীক নগ্ন-অশ্লীল দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন হচ্ছে চরম ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদাবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। গ্রিক দেবীর মূর্তি নয়, মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামে সকল ধরণের মূর্তি স্থাপন হারাম।
অন্যান্য বক্তারা সরকারের নিকট আহবান জানিঁযে বলেন, অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে। অন্যথায় ধর্মপরায়ন জনগণের সমর্থন হারালে এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
এতে বকতব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি হাফিজ আব্দুল কাদির, সহ সভাপতি মাওলানা শওকত আলী, প্রশিক্ষন সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রাহমান তালুকদার, নির্বাহী সদস্য হাফিজ শেখ মুসতাক আহমাদ, হাফিজ মাওলানা কামরুল হাসান খান, মুহাম্মদ সৈয়দ মারুফ আহমাদ, লন্ডন মহানগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, লন্ডন সিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনিসুর রাহমান, মাওলানা ফুজায়েল আহমাদ নাজমুল প্রমুখ।