বালাগঞ্জে গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বালাগঞ্জে এক গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকার দু’টি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। হামলার ঘটনায় উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য (চৌকিদার) হিমাংশু নমশুদ্র ১০ এপ্রিল ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বালাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলো-উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নশিরপুর গ্রামের মৃত আমীন উল্লাহর পুত্র ওয়ারিছ উল্লাহ, একই গ্রামের এলাইছ মিয়ার পুত্র মোহন মিয়া, সুমন মিয়া, মৃত কণা মিয়ার পুত্র আলমাছ মিয়া ও আলমাছ মিয়ার পুত্র মামুন মিয়া। এদিকে- হামলার ঘটনাকে ভিন্নদিকে প্রভাবিত করার জন্য দৃস্কৃতিকারীরা বিভ্রান্ত চড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে-৮ এপ্রিল দুপুরে গ্রাম পুলিশ হিমাংশু খানার তথ্য সংগ্রহের জন্য (পরিবারের পরিসংখ্যান) তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত জোজাহান বাদশা মুনকে সাথে নিয়ে একই ইউনিয়নের নশিরপুর গ্রামের ওয়ারিছ উল্লাহর বাড়ীতে যান। এসময় তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে ওয়ারিছ উল্লাহ গ্রাম পুলিশ হিমাংশু ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গ্রাম পুলিশকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে বাড়ীতে থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে হিমাংশু অত্র ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলামের বড় ভাই জিলু মিয়াকে বিষয়টি অবগত করেন। জিলু মিয়া বিষয়টি সালিশ করার জন্য ওয়ারিছ উল্লাহর বাড়ীতে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। তখন ওয়ারিছ উল্লাহ ও জিলু মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওয়ারিছ উল্লাহর পক্ষ নিয়ে মোহন মিয়া, সুমন মিয়া, আলমাছ মিয়া, মামুন মিয়া লাঠিসোটা নিয়ে হিমাংশু নমশুদ্রের ওপর হামলার চেষ্টা করলে সে প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে স্থান ত্যাগ করে। তৎক্ষনাৎ ওয়ারিছ উল্লাহর লোকজন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বড় ভাই জিলু মিয়া সহ অন্যান্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রন করেন। ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, গ্রাম পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাকে আড়াল করার জন্য হামলাকারীরা আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপ্রপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। গ্রাম পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার প্রতিবাদ করায় সংঘবন্ধ হামলাকারীরা আমার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হওয়ায় আমার ওপর প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তথ্য সংগ্রহকারী জোজাহান বাদশা মুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খানার তথ্য সংগ্রহকালে ওয়ারিছ উল্লাহ সহ অন্যান্যরা গ্রাম পুলিশ হিমাংশুকে কিল ঘুষি মারেন এবং তার গায়ের পোষাকটি ছিড়ে ফেলেন। বোয়ালজুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনহার মিয়া বলেন, খানা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহকালে নশিরপুর গ্রামের ওয়ারিছ উল্লাহ গ্রাম পুলিশ হিমাশুর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল ঘুষি মারার ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বালাগঞ্জ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন খান জানান, ঘটনার সাথে-সাথে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে হিমাংশু নমশুদ্রের দেয়া অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।