আতিয়া মহলে বৃদ্ধার ৫৬ ঘন্টার বিভীষিকাময় দিনরাত : অতঃপর উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মার্চ ২০১৭, ৫:৩১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আতিয়া মহলের মৃত্যুপুরীতে টানা ৫৬ ঘন্টার বিভীষিকাময় দিনরাত পার করার পর সেনাবাহিনীর প্যারা-কামান্ডো দল চার তলা ভবন থেকে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেছে। আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে আতিয়া মহলের পাঁচতলা ভবনের লাগোয়া চারতলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে জোসনা রাণী রায়কে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ডাক্তাররা জানান, ভয়ে ও তিন দিন খাবার না পেয়ে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ছেলে ও ছেলের বউয়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ছেলে ও ছেলের বউ জঙ্গি অভিযানের খবরে তাকে আটকে রাখেন । জোসনা রানী বলেন, আমি ফ্ল্যাটে একাই ছিলাম।’ অনেক ভয় পেয়েছি বাবা । টানা তিনদিন কোন খাবার পাইনি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোরে অভিযান শুরুর পর থেকে অভিযানস্থল এবং এর আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বিস্ফোরণস্থল পুরোপুরি কর্ডন করে রেখেছেন সেনাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৫ মার্চ) রাতের বোমা বিস্ফোরণস্থল ফিতা টানিয়ে সুরক্ষিত করে রেখেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অভিযানস্থলের বাইরে ৩০০ গজ উত্তরের রাস্তায় দু’দফা ওই বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন, আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন সাংবাদিক, পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ ৩২ জন।
নিহতদের মধ্যে আছেন- জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়সার। তারা দু’জনই পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দলের সদস্য ছিলেন বলে জানান জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন। অপর নিহতরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম অপু, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা ডেকোরেটর ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম ও খাদিম শাহ।