৪ দিনের প্রচারণায় ওসমানীনগরে লুনার বাজিমাত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মার্চ ২০১৭, ১:২৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যারিশমাটিক লুনা। যার ক্যারিশমায় উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির এমন বাজিমাত। উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদই বাগিয়ে নিয়েছে তাঁর দলের প্রার্থীরা। প্রায় ৪বছর থেকে স্বামীর সাজানো বাগান (ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ) আগলে রাখছেন নিখোজঁ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর পত্নী ও বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকার কর্ণধার এখন লুনা। স্বামীর দলের জন্য রাজনীতিতে প্রায় ৩বছর থেকে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন রুশদীর লুনা। দলের প্রয়োজনে তাঁকে অনেকবার মাঠে নামতে দেখা গেছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ ও এবারের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন লুনা। ওসমানীনগরের রাজনীতির মাঠে কোনঠাসা অবস্থানে থাকা বিএনপিকে ৪দিনেই চাঙ্গা করে তুলেন কেন্দ্রীয় এই নেত্রী। ০৬ মার্চ ওসমানীনগর উপজেলাকে সামনে রেখে ৪দিনের সফরে ঢাকা থেকে সিলেট আসেন লুনা। ২১ ফেব্রুয়ারি নেতৃবৃন্দদের চাঙ্গা করতে কর্মী সম্মেলন, ২২ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ওসমানীনগরের ৮ইউনিয়নে জনসভা, পথসভা করে পুরো উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ্যচাঞ্চল্য ফিরে আনেন রুশদীর লুনা। সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন দল ও নিজের আকুতি। ৪দিনের মধ্যেই বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে একাট্টা করে ঢাকায় ফেরেন তিনি। সেই থেকে একজোট হয়ে মাঠে নামেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার ফসল নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের এমন জয়জয়কার। বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা সুরমানিউজকে জানান, ইলিয়াস পত্নী লুনার ৪ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা দলকে ভিত গড়ে তুলতে সহায়তা করে। দলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা সবার উপরে। এছাড়া ইলিয়াস আলীর প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের টান আছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নে নিখোঁজ এই নেতার অবদান স্মরণীয়। তাই দল ও দলের বাইরে অনেকেই আজ ধানের শীষ প্রতিকে ভোট দিয়েছেন।
তাছাড়া নেতাকর্মীরা এ বিজয়কে ইলিয়াস গুমের সঠিক জবাব বলে উল্লেখ্য করছেন। ওসমানীনগরবাসী নীরব ব্যালট বিপ্লবে ঘটিয়েছে বলে দাবি বিএনপি কর্মী সমর্থকদের।
উল্লেখ্য, আজ ০৬ মার্চ নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলার প্রথম নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০,৭৭৮ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি প্রার্থী গয়াছ মিয়া পেয়েছেন ২৯,৭০৮ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি প্রার্থী মোসলিমা চৌধুরী ২৫,৫৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।