ভোটে ফ্যাক্টর যারা, আজকে নেই তারা…
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০১৭, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে আজ সকাল ৮টা থেকে। তবে নির্বাচনে তেমন কোনো আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। ভোট কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট ফ্যাক্টর নারী ভোটাররা। ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৭ ভোটারের মধ্যে ৬৪ হাজার ৩৪৭ জনই নারী। ভোটের ঘরে নারী ভোটাররা যাকে পছন্দ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে প্রার্থীদের ভাগ্য। তবে সুরমানিউজ টিম উপজেলা ঘুরে দেখতে পান ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি তেমন একটা নেই। নারী ভোটারসহ নীরব ভোটারদের ওপর প্রার্থীদের জয় পরাজয় নির্ভর থাকলেও ভোট কেন্দ্রগুলোতে তাদের তেমন উপস্থিতি নেই। ভোটকেন্দ্র গুলোতে সুনশান নিরবতা। এদিকে বন্দুকযুদ্ধে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় পুরো উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ বিনাশ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেক সাধারণ ভোটার ও দলীয় কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সাদীপুর ইউপির কালনীচরে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ায় পুরো উপজেলা জুড়ে একধরনের আতংক দেখা দেয়। যা আজ নির্বাচনের মাঠেই ফুটে উঠছে। প্রার্থীদের জয়ের হিসেব নিকেশে নারী ভোটাররা থাকলেও নির্বাচনে তাদের সাড়া নেই বললেই চলে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও উপজেলার মোট ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ হচ্ছে দলীয় ভোটার, আর বাকি ৮০ ভাগ ভোট হচ্ছে সাধারণসহ নারী ভোটার। যে প্রার্থী যত বেশি নারী ভোট টানতে পারবেন তিনিই জয়ের মালা পরবেন বলে হিসেব ছিল প্রার্থীদের। আর তাদের ওপর প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ভরশীল থাকলেও আজকের নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে তেমন দেখা নেই নারী ভোটারদের।
এছাড়া অধিকাংশ প্রার্থী নারী এবং নির্দলীয় ভোটারের চেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রচারণার মাঠে। বেশির ভাগ প্রার্থীদের নারী ভোটাররা চিনেন না। তাই নারী ভোটাররা আজকের নির্বাচনে তেমন সাড়া দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। তারপরও ভোটযুদ্ধে অনেক প্রার্থীর সমর্থকরা নারীদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার প্রথম নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী, জাপার লাঙ্গল নিয়ে শিব্বির আহমদ এবং স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র তালা প্রতীক নিয়ে ফেরদৌস খান, বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে গয়াছ মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মুক্তা পারভীন, বিএনপির মুসলিমা আক্তার চৌধুরী, স্বতন্ত্র শারমিন আক্তার ও হুছনা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী এবং অভ্যন্তরীণ চরম কোন্দলের কারণে নির্বাচনে হতাশাজনক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে ভোটারদের মুখে শোনা যাচ্ছে। তবে দৃশ্যমান অবস্থা যাই হোক, নারী ভোটারসহ নীরব ভোটারদের ওপর প্রার্থীদের জয় পরাজয় নির্ভর করছে।