শফিক চৌধুরীর গাড়িতে হামলা : ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই দিনে গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৯:২০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুই দিনে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হচ্ছেন শাহপরাণ এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে মারুফ আহমদ (২২), মাছিমপুরের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে আহমদ আলী স্বপন ও ছড়ারপারের আব্দুল মালেকের ছেলে শাহজাহান ওরফে সাজু (২২)।
এর আগে রোববার সকালে সাজ্জাদ এবং রাজু নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী কবিরুল ইসলাম কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দুই দিনে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পুলিশের হাতে চার লিটার মদসহ আটক দুই শ্রমিককে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা। পুলিশ আটককৃতদের না ছেড়ে হামলা প্রতিহত করলে ওইদিন মধ্যরাতে দেওয়া হয় ধর্মঘটের ডাক।
পরে শনিবার দিনভর সিলেটজুড়ে তান্ডব চালায় পরিবহন শ্রমিকরা। ট্রাক ও মাইক্রোবাস শ্রমিক সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিলেও তাদের বাধায় কোন ধরনের যানবাহনই চলাচল করতে পারেনি। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বাধার সৃষ্টি করা হয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে, সড়ক অবরোধ করে চরম নৈরাজ্যমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পরিবহন শ্রমিকরা।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরও ভাঙচুর করা হয় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়ি। এ ঘটনায় শফিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারি কবিরুল ইসলাম কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।