দোভাষীর ডায়েরী : ব্রিটেনে বাঙ্গালীদের বাস্তব চিত্র নিয়ে লিখলেন ওসমানীনগরের মাহতাব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
জুবায়ের আহমেদঃ বই জীবন-জগৎ সম্বন্ধে জানান দেয়। এমন কি নিজেকে চেনার জন্যও বই পড়তে হয়। বই মানুষের অন্তরচক্ষু সংখ্যা বৃদ্ধি করে। বই মানুষকে জড় থেকে জীবে পরিণত করে। বই-ই পারে দু’পায়া মানুষকে মানুষ’ হিসেবে গড়তে। বিবেক, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, মনুষ্যত্ব, নৈতিকতামূল্যবোধ, আত্মসম্মান, মানবতাবোধ ও পরিবর্তন বই ব্যতীত অসম্ভব। বই আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে সহায়তা না করলেও জীবনকে অন্তত সহ্য করার শিক্ষা দেয়। কেবল বই পড়েই মানুষ তার পরিপূর্ণ জীবনের একটা ইঙ্গিত, একটা সঙ্কেত আভাস লাভ করতে পারে।
মোহাম্মদ মুফিদুল গনী মাহতাব একজন ব্রিটেন প্রবাসী কবি সাহিত্যক। তার লেখা বই দোভাষীর ডায়েরী মূলত জীবনের বিশদ বিবরণ। আর সে জীবনেরই নৈমিত্তিক ঘটনাগুলোই যখন একজন লেখক তার উপলব্ধি এবং নিজস্ব ভাষার বুননে উপস্থাপন করেন। আর সেই অনুভূতির সঙ্গে পাঠক একাত্ম হয়, তখনই বইটি পাঠের যে মুগ্ধতা, তা বোঝা যায়। মুফিদুল গনী মাহতাবের বইয়ের কাহিনী এমন সাবলীল উপস্থাপন আমাদের অনুভূতিতে চেনা-অচেনার দোলাচলে ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। বইটিতে লেখক তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার দিক তুলে ধরেছেন। ব্রিটেনে প্রবাসীদের জীবন, বাস্তবতার সংঘাত, টানাপড়েন এবং নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রত্যেকটি গল্পে অনুভবের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দিক তুলে ধরেছেন। লেখক কবি মোহাম্মদ মুফিদুল গনী মাহতাব একজন ব্রিটেন প্রবাসী। ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নের ঘোষগাও গ্রামের মরহুম মুন্সি মজম্মিল আলী ও সামসুন্নাহার বেগমের সুযোগ্য সন্তান। পেশায় একজন দোভাষী হলেও লেখালেখিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন তিনি। জীবনের নানা ঘাটে জল খেয়ে, ভুবনের হাটে হাটে সওদা করতে করতে অবশেষে সৃষ্টিশীল ও মননশীল সব ধরনের লেখায় সমান পারদর্শী মুফিদুল গনী মাহতাব প্রবাসী বাঙ্গালীদের বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখেন দোভাষীর ডায়েরী।