উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে বিভক্ত ওসমানীনগর আওয়ামীলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:২৩ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ওসমানীনগরে আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব-বিভেদ-কলহ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মনোনয়ন ঘিরে ইতোমধ্যেই নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব-কোন্দল। নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ের এই চিত্র সামনে আরও ভয়াবহ রূপ পেতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন। যদিও এই নির্বাচনের মধ্যদিয়েই দীর্ঘদিনের মতবিরোধ গ্রুপিং রাজনীতির অবসান করার পরিকল্পনা ছিল ক্ষমতাসীন সরকারি দলটির। কিন্তু মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দে আবারো ওসমানীনগর আওয়ামীলীগ বিভক্ত হয়ে পড়েছে ।
জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের গ্রুপিং দীর্ঘদিনের। এলাকায় দলের দুই নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গ্রুপে বিভক্ত নেতাকর্মীরা। উক্ত গ্রুপিংয়ের জের ধরে বিভিন্ন সময় পৃথক পৃথক সভা, সমাবেশ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যা সকলের জানা। এসবকে ধামাচাপা দিয়েই রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রেখেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। আর নির্বাচন এলেই স্থানীয় আওয়ামীলীগে দেখা দেয় প্রকাশ্য মতবিরোধ। একেকটি নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশা এবং ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো দ্বন্দের চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মীরা। গত শনিবার এ নিয়ে উপজেলার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সবাইকে নিয়ে বসেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা। সেখান থেকে বাছাই করে চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। গতকাল চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমানের নাম ঘোষনা হওয়ার পর পরই স্থানীয় আওয়ামীলীগের বড় একটি অংশে নেমে আসে হতাশা। একই বলয়ের অপর চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী জগলু চৌধুরীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে তা তিনি প্রত্যাখান করেন। এবং তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাগরিক কমিটির ব্যানারে চেয়ারম্যান পদে লড়ার ঘোষনা দেন। বিশ্বস্থ একটি সুত্র সুরমানিউজকে জানায় শফিকুর রহমান বলয় থেকে জগলু চৌধুরী আনোয়ারুজ্জামান বলয়ে যোগ দিয়েছেন। গতকাল রাতেই আনোয়ারুজ্জামান গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের সাথে তার দীর্ঘ বৈঠক হয়।
সেখানে একাধিক নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে বানিজ্য হয়েছে। আমরা সাধারন কর্মীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মী জানান, এটা খুবই হতাশাজনক যে, আমরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামতে পারছিনা। দলীয় সিদ্ধান্তে বরাবর নেওয়া হয় ভুল সিদ্ধান্ত যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ কর্মীদের।