উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে ওসমানীনগরের রাজনীতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকৃতিতে শীতের তীব্রতা যাই হোক ওসমানীনগরের রাজনীতিতে ফের উষ্ণতা বাড়ছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওসমানীনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ে এখন উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ১৩ প্রার্থীরা নিজ এলাকায় ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় এখন মহাব্যস্ত। তৃণমূল পর্যায়ে মাঠ দখলে রাখতে উপজেলা নির্বাচনকে দলের অস্তিত্ব রক্ষায় লড়াই হিসেবেই বিবেচনা করেছেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। দলের কর্মী ও সমর্থকদের চাঙ্গা করে তুলতে বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে নেতারা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলটির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও মাঠ দখলে রেখেছেন পুরোদস্তুর।
আজ আওয়ামীলীগ থেকে দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে মাঠ দখলের জন্য দুই শিবিরই তৎপর হয়ে উঠে। পুরো উপজেলার আওয়ামীলীগ এখন দুই শিবিরে বিভক্ত। অন্যদিকে বিএনপি একক প্রার্থী দিয়েও শান্তিতে নেই। নিজেদের মধ্য থাকা অনৈক্য আর মতভেদ মেটাতে একে অপরের সাথে দিনরাত খেটে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি ও রয়েছে মাঠে। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন উপজেলার নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি জাতীয় পার্টি ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল্গুলো পুরোদমে এখন মাঠে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওসমানীনগরের রাজনীতি এখন সরগরম হয়ে পড়েছে। বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। হাটে মাঠে কর্মীদের আনাগোনা বাড়ছে। ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে উপজেলা নির্বাচন। সবার দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ হয়ে পড়ছে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের দিকে।
সব মিলিয়ে প্রকৃতিতে শীত ঝেঁকে বসার আগেই রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এমন উত্তাপেই রাজনীতির মাঠ ঢাকা থাকবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা সুরমানিউজকে জানান, নৌকার পক্ষে এখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি দলটি। ‘নৌকা’র বিজয়ের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে দলীয় কোন্দল। তাছাড়া বিএনপির একক প্রার্থী আর নিজ দলের প্রভাবশালী প্রার্থী থাকায় অনেকটা দুশ্চিন্তা পড়তে হচ্ছে দলটিকে।
এদিকে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, অর্ন্তদ্বন্দ থাকলেও ‘ধানের শীষের’ স্বার্থে প্রার্থীর চেয়ে দলীয় প্রতীককে প্রাধান্য দিয়ে অতীত বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কে কোন ভাইয়ের কর্মী তার চেয়ে এখন সকলের কাছে মূখ্য হয়েছে ‘ধানের শীষের’ প্রার্থী। তবে দলের জ্যৈষ্ঠ কয়েকজন নেতার মতবিরোধে কিছুটা বেকায়দায় আছে বিএনপি।