বড়লেখায় রথ মেলায় জুয়ার আসর পণ্ড : ৬ জুয়াড়ীর জেল-জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ২:১২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রশাসনের তৎপরতায় পৌষ সংক্রান্তির ফিরতি রথ মেলায় পণ্ড হয়েছে জুয়ার আসর। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাগীরপারে পৌষ সংক্রান্তির ফিরতি রথ মেলায় জুয়ার আসরের প্রস্তুতি নিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ তা পণ্ড করে দেয়। এসময় মেলায় খেলতে আসা ২ জুয়াড়ীসহ পৃথক স্থানে অভিযানে আটক আরো ৪ জুয়াড়ীকে জেল-জরিমান প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দাসেরবাজার ইউনিয়নের বাগীরপার ও বর্ণি ইউনিয়নের মিহারী এলাকায় পৌষ সংক্রান্তি মেলার নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে রাতভর নিষিদ্ধ জুয়ার আসরের আয়োজন করে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের।
এরপর শনিবার (২১ জানুয়ারি) পৌষ সংক্রান্তির ফিরতি রথ মেলায় যাতে কোন প্রকার জুয়ার আসর না বসে সেজন্য প্রশাসন মেলা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে। মেলায় কোন প্রকার জুয়া চলবে না এ মর্মে তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামও নেওয়া হয়। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বাগীরপারের রথ মেলায় আবারো জুয়ার আসরের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে জুয়া বন্ধ করতে শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে শক্ত অবস্থান নিলে তা ভেস্তে যায়। তবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জুয়া খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ২ জুয়াড়ীকে ১৩’শ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা হচ্ছে-সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মইন উদ্দিন (২২) ও কাওছার হোসেন (১৮)। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সমীর বিশ্বাস, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন, থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
অন্যদিকে রাতে থানার এসআই দেবাশীষ সূত্রধর ও এএসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ পৌর শহরের আদিত্যের মহাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জুয়াড়ীকে আটক করে। পরে রাত আড়াইটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের হাজির করলে আদালত তাদের জেল-জরিমানা প্রদান করেন। এরা হলো-উপজেলার গাজিটেকা গ্রামের জিয়াউর রহমান (৩০), আরজ আলী (৪২) ও কছির আলী (৫২) এবং ফয়েজ রহমান (১৭)। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে ৭দিন, আরজ আলী ও কছির আলীকে ৫দিন করে কারাদন্ড ও ফয়েজ রহমানকে ৩’শত টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সমীর বিশ্বাস।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার সন্ধ্যায় মেলায় জুয়া বন্ধ ও ৬ জনকে জেল-জরিমানা প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।