নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে কাঠগড়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জনগণের বিচারে জয়ের তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতের বিচারকের মুখোমুখি হতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
প্রতারণার এক মামলায় আগামী ২৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে হাজির হতে হবে।
সান ডিয়াগো ফেডারেল কোর্টে হাজির হতে তাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে অ্যাটর্নি প্যাট্রিক জে কলিন জানিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ট্রাম্প তার আগে বিষয়টি মিটমাট করে নিলে তা এড়াতে পারবেন।
ধনকুবের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন বিলুপ্ত ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিগ্রির মর্যাদার তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে এবং ট্রাম্প এ বিষয়টি জানতেন।
এ বছরের অগাস্টে মামলাটি হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত তার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নভেম্বরের ২৮ তারিখ ট্রাম্পের হাজিরার দিন ঠিক করা হয়েছে বলে জানান কলিন।
শুরু থেকেই ট্রাম্প এ মামলার বিচারক গঞ্জালো পি কিউরিয়েলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বলে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিচারক মেক্সিকান বংশোদ্ভূত হওয়ায় মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে মনে করেছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই মেক্সিকানদের ‘ধর্ষক ও সন্ত্রাসী’ বলে আসছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় গেলে দেশটির সঙ্গে থাকা সীমান্তে দেয়াল তুলে দেওয়ারও ঘোষণাও দেন এ রিপাবলিকান।
ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীদের করা এ মামলা ছাড়াও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ডেইলি নিউজ।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবিধা এই মামলায় পাচ্ছেন না ট্রাম্প। কারণ দেশটির অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট সব আইনের ঊর্ধ্বে থাকলেও দায়িত্ব নেওয়ার আগে করা অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি পাবেন না।
১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এক অভিযোগের শুনানি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এ বিধান দেয়।
আরকানস’ রাজ্যের গভর্নর থাকার সময় ক্লিনটন রাজ্য প্রশাসনের কর্মচারী পলা জোনসকে যৌন হয়রানি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তখন প্রেসিডেন্ট ‘ছাড় পাবেন কি না’ তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ওই শুনানি হয়েছিল।
শপথ নেওয়ার আগে মামলাটি মিটমাট করে নিতে ট্রাম্প বিচার স্থগিত রাখার আবেদন করতে পারেন বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।